মৌলিক গণতন্ত্র কি ? মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ

মৌলিক গণতন্ত্র


মৌলিক গণতন্ত্র কি বা মৌলিক গণতন্ত্র কাকে বলে অনেকেই এই বিষয়ে জ্ঞান রাখেন না। নিম্নে মৌলিক গণতন্ত্র কি ও মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-


মৌলিক গণতন্ত্র কি 


মৌলিক গণতন্ত্র হলো সাধারণত এমন এক ধরনের সীমিত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যেখানে সার্বজনীন ভোটাধিকার পরিবর্তনে কিছু সংখ্যক নির্ধারিত প্রতিনিধিগনের মাধ্যমে জাতীয় নেতৃত্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেওয়া।


আবার অনেকে মৌলিক গণতন্ত্র মানে পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের শাসনামলে প্রচলিত একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা বুঝে থাকেন। যা সাধারণত ১৯৫৯ সালের দিকে পাকিস্তানে প্রবর্তিত হয়েছিল।


তখনকার সময়ে এটি ছিল এক ধরনের স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটের দ্বারা ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। এই ধারাটি সাধারণত তৈরি করা হয়েছিল গণতন্ত্রের একটি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে।


মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সমূহ 


মৌলিক গণতন্ত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। নিম্নে মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সমূহ ও কেন এটি পরবর্তীতে বাতিল করা হয় এই বিষয়ে কিছু জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে:-


১. স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা:- মৌলিক গণতন্ত্রের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারি কাঠামোতে জনপ্রতিনিধিরা সাধারণত নির্বাচিত হতেন, যাদেরকে সেই সময়ে বেসিক ডেমোক্রেটস বলা হতো। এই জনপ্রতিনিধিরায় সাধারণত স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত করতেন।


২. পরোক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা সুবিধা : মৌলিক গণতন্ত্রের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো জনগণ সরাসরি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতেন না। এখানে নির্বাচিত মৌলিক গণতন্ত্রের প্রতিনিধিরাই সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতিকে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত করতেন। 


৩. সীমিত গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ: মৌলিক গণতন্ত্র একদিক থেকে হিসাব করলে গণতন্ত্রের সীমিত একটি রূপ ছিলো, যেখানে সাধারণত জনগণের অংশগ্রহণ খুবই সংক্ষিপ্ত পর্যায়ে ছিলো। তাছাড়া এখানে কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় জনগণের ভূমিকা কমানো হয়েছিল।


৪. উন্নয়নমূলক কেন্দ্রিকেতা: মৌলিক গণতন্ত্রের একটি ভালো দিক ছিল সেটি হলো এখানে স্থানীয় উন্নয়নের ওপর বেশ জোর দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করার জন্য একযোগে কাজ করতো।


৫. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের সুবিধা: মৌলিক গণতন্ত্র সরকারকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা করে দিয়েছিল। যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় সরকার শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সক্ষম হয়ে থাকে।


তাছাড়া সহজ ভাষায় যদি বলতে হয় মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হলো মন্ত্রিসভা ও প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্টের অধীনস্থ থাকবে। যার মাধ্যমে প্রাদেশিক বা অন্যান্য কোন স্তরে স্বায়ত্তশাসন থাকবেনা। 


উপসংহার: আশা করি ইতিমধ্যে মৌলিক গণতন্ত্র কি ও মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সমূহ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরেও যদি এই বিষয়ে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন