ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কিভাবে কাজ করে এই বিষয়ে জানেন কি? আজকের পোস্টে আপনাদেরকে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি জনপ্রিয় বায়োমেট্রিকস সিস্টেম। সময়ের সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তা আরো অনেকাংশে বাড়বে। বায়োমট্রিকস ডিভাইসে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করার পর তা অনেক আগে থেকে সংরক্ষিত মানুষের আঙ্গুলের ছাপের সাথে ম্যাচ করিয়ে ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করার প্রক্রিয়াকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার বলা হয়ে থাকে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কিভাবে কাজ করে?
ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার অনেক কাজকে আমাদের সহজ করে দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তি সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার গুলি একজন ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের একটি চিত্র সর্বপ্রথম ক্যাপচার করে এবং তারপর এটি পরিচিত আঙ্গুলের ছাপের সাথে ডাটাবেসের তুলনা করে। আর এই ক্ষেত্রে যদি আঙ্গুলের ছাপ পরিচিত ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলে যায় তখন সে ব্যক্তিকে প্রমাণীকরণ করা হয়।
কেউ ফিঙ্গারপ্রিন্ট কে নকল করতে পারে না। কেননা ফিঙ্গার স্ক্যানারে থাকে একটি রিডার এবং সফটওয়্যার যা স্ক্যান করা তথ্যকে ডিজিটাল ফর্মে রূপান্তর করে ম্যাচিং পয়েন্টগুলোর সাথে তুলনা করে।
বর্তমান বিশ্বে যত বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস রয়েছে তাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার। কেননা ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কমদামি এবং এটি অনেক ডাটা রাখতে সক্ষম একটি মাধ্যম।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্সের কিছু সুবিধা
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্সের কিছু সুবিধা রয়েছে যার কারণে এই পদ্ধতিটি এত জনপ্রিয়। যেমন:-
১. ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্স অল্প খরচের মধ্যে দারুন একটি পদ্ধতি যেটি ব্যবহার করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো সহজেই সমাধান করা যায়। বিশেষ করে এখন সরকারি বিভিন্ন সেবা স্থান ও ব্যাংক গুলোতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্স এমন একটি পদ্ধতি যেখানে একজন ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি আবার বায়োমেট্রিক্সে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার মাধ্যমে সনাক্ত হয়ে থাকেন।
২. ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্সের মাধ্যমে এখন ব্যাংকে টাকা উত্তোলন থেকে শুরু করে জরুরী অনেক ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। অর্থাৎ আপনি ব্যাংকে একাউন্ট করেছেন সেখানে শুধুমাত্র আপনি ফিঙ্গারের মাধ্যমেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তাছাড়া এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ব্যাংকের টাকা অন্য কোন ব্যক্তি তুলতে পারবে না।
৩. ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটি স্মার্টফোন ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
৪. এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং এর ডেটাবেজ মেইনটেইনে অল্প মেমোরির প্রয়োজন হয়।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্স এর কিছু অসুবিধা সমূহ
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্সের যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু অসুবিধা রয়েছে। এতক্ষণে সুবিধা সম্পর্কে জানলেন এবার এর কিছু অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন:-
১. অনেক সময় হাতের আঙ্গুলে ময়লা বা অন্যান্য কোন কিছু উপস্থিতি থাকার কারণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্সে সনাক্তকরণ পদ্ধতি দেরিতে হতে পারে।
২. যেহেতু বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাতের চাপ পরিবর্তিত হয়ে থাকে তাই শিশুদের জন্য এটি পরবর্তীতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
উপসংহার: আশা করি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কিভাবে কাজ করে ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ইতিমধ্যে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরও যদি এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।