বাফার দ্রবণ কি? বাফার দ্রবণ চেনার উপায়

 

বাফার দ্রবণ কি

বাফার দ্রবণ কি অনেকেই এই বিষয়ে জানেন না। যে দ্রবণে সাধারণত অল্প পরিমাণে অম্ল,  ক্ষার কিংবা দ্রাবক যোগ করলেও দ্রবণের ph অপরিবর্তিত থেকে থাকে তাকে বাফার দ্রবণ বলা হয়ে থাকে।

তাছাড়া সহজভাবে যদি বলা হয় বাফার দ্রবণ কি তাহলে বুঝতে হবে যে দ্রবণে এসিড এবং ক্ষার যুক্ত করার পরেও দ্রবণের ph  মানের কোন ধরনের পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ একই অবস্থায় থাকে সে সকল দ্রবণকে বাফার দ্রবণ বলা হয়। নিম্নে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:-


বাফার দ্রবণ কাকে বলে 


বাফার আমাদের প্রকৃতিতে অনেক আগে থেকেই ছিলো। ১৯০৮ সালের দিকে লরেন্স জোসেফ হেন্ডারর্সন একটি সমীকরণ বের করার মাধ্যমে কার্বনিক এসিডকে প্রাকৃতিক বাফার হিসেবে প্রমাণ করেন।

বাফার দ্রবন হলো,  যে দ্রবণে এসিড ও ক্ষার যুক্ত হওয়ার পরেও দ্রবণের পিএইচ মানের কোনো পরিবর্তন ঘটে না সে সকল দ্রবণকে বাফার দ্রবণ বলে। বাফার দ্রবণকে অনেকে কার্বোনেট বাফার কিংবা কার্বনেট বাই কার্বনেট নামেও চিনে থাকেন। এই ধরনের দ্রবণে সাধারণত দ্রবীভূত এসিড ও ক্ষারক প্রশমিত হয়ে থাকে।

বাফার দ্রবণ কত প্রকার ও কি কি 


বাফার দ্রবণ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান পেতে হলে বাফার দ্রবণ কত প্রকার ও বাফার দ্রবণ কি কি এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাফার দ্রবণ দুই প্রকারের হয়। যেমন:-

১. অম্লীয় বাফার দ্রবণ 

২. ক্ষারীয় বাফার দ্রবন 



অম্লীয় বাফার দ্রবণ কি।  অম্লীয় বাফার দ্রবণ বলতে কি বুঝ


দ্রবণে অম্লীয় পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অম্লীয় বাফার ব্যবহার করা হয়। অম্লীয় বাফার গুলোর ph এর মান অনেকটা ৭ এর নিচে। মৃদু এসিড ও ঔ এসিড এর সাথে তীব্র ক্ষারকের লবণের দ্রবণ মিশ্রিত বাফার দ্রবণকে অম্লীয় বাফার দ্রবণ বলা হয়।

ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ কি? ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ বলতে কি বুঝ 


কখনো কখনো মৃদু ক্ষারের সাথে তীব্র এসিড ও মৃদু ক্ষারের লবণের দ্রবণ মিশিয়ে বাফার দ্রবন তৈরি করা হয়। আর এই ধরনের দ্রবণকে বলা হয় ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ।

বাফার দ্রবণ কিভাবে কাজ করে 


বাফার দ্রবণ কিভাবে কাজ করে এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বহু রাসায়নিক ও জীব বিদ্যা সম্পর্কীয় প্রক্রিয়ার জন্য অবশ্যই পিএইচ স্থির রাখা প্রয়োজন। আর এর জন্য সাধারণত এমন দ্রবণের প্রয়োজন হয় যা স্থির পিএইচ রক্ষা করতে পারে।

সহজভাবে যদি বলতে হয়, দ্রবণে সামান্য একটু এসিড বা ক্ষার যোগ করলে দ্রবণের পিএইচ পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু এমনও দ্রবণ তৈরি করা যায় যার পি এইচ সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষার যোগ করলে অপরিবর্তিত থাকে, তাছাড়া পানি যোগে লঘু করলেও পিএইচ একই থাকে।

তাহলে এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি যে, যে দ্রবণে সাধারনত সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষার যোগ করলেও দ্রবণের ph মান অপরিবর্তিত থাকে ওই দ্রবণকে বাফার দ্রবণ বলা হয়। বাফার দ্রবণের তার পি এইচ পরিবর্তনে বাধা দেওয়াকে বাফার ক্রিয়া বলে।

আপনারা অনেকেই জানেন না যে বাবার দ্রবণ হলো একটি দুর্বল এসিড যা লবণ মিশ্রিত করে প্রস্তুত করা হয়। যেমন: অ্যাসিটিক এসিড ও সোডিয়াম এসিটেট পানিতে দ্রবীভূত করার মাধ্যমে বাফার দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়।

উপসংহার: বাফার দ্রবণ কি ও বাফার দ্রবণ কিভাবে কাজ করে পোস্টটি পড়ে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেয়েছেন। তারপরেও যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন