আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাব বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কিভাবে ক্রয় করবেন। ভ্রমণের জন্য আমরা বেশিরভাগ ট্রেন জার্নি বেশি পছন্দ করে থাকি। আরে ট্রেন টিকিট কাটা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়ে থাকি। আরে ট্রেনের টিকিটের যদি আমরা ঘরে বসে ক্রয় করতে পারি। তাহলে আমাদের অনেকেরই ভালো লাগে। তাই আপনি চাইলে আপনার ট্রেনের টিকিট ঘরে বসে আয় করতে পারেন। তাও যদি এটা আবার বিকাশের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়মঃ
ট্রেনের টিকিট /অনলাইনে বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বুকিং
রেল স্টেশন বাসা থেকে দূরে হলে, ট্রেনের টিকিট কাটা ঝামেলা মনে হয়। অনেকক্ষেত্রে লাইনে দাঁড়িয়েও ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ট্রেনের টিকিট, অনলাইনে বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বুকিং দিতে পারে। অনলাইনে টিকিট ক্রয় করলে আপনার পছন্দের সিট নিতে পারেন। এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে আপনার বাড়তি কোনো ঝামেলায় ভোগ করতে হবে না। চলুন দেরী না করে কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করবেন জেনে নেওয়া যাকঃ
বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটবেন তা কয়েকটি ধাপে নিচে দেয়া হলঃ
ধাপ ১ঃ আপনার ফোনে বিকাশ আছে কিনা থাকলে প্রথমে প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিবেন। তারপর বিকাশে অ্যাপটি লগইন করবেন।
ধাপ ২ঃ বিকাশ অ্যাপস এ প্রবেশ করার পর নিচে দেখতে পাবেন বাংলাদেশ রেলওয় অপশনটি/এছাড়া অনেকের টিকিট অপশন কেউ থাকতে পারে. যেটাই থাকুক না কেন আপনি রিয়েল অপশনটি প্রবেশ করবেন।
ধাপ ৩ঃ রেলওয়ে অপশনটি প্রবেশ করার পর আপনাকে সরাসরি, বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটিতে নিয়ে যাবে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট যাবার পর আপনাকে ওখানে ইমেইল বা ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর আপনি ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
ধাপ ৩ঃ তারপর আপনার স্ক্রিনে দেখাবে গন্তব্য স্থান তারিখ এবং ট্রেনের সিট নির্বাচন। প্রথমে থাকবে টু মানে হত। মানে আপনি যে স্থান থেকে যাবেন, আপনি যে স্থানটিতে যাবেন সেই স্থানের নাম লিখবেন। তারপর আপনি যেখানে যেতে চান সেই স্থানের স্টেশনের নাম লিখবেন। তারপরে তারিখ লিখবেন তারপর টিকিট সংখ্যা এগুলোর মাধ্যমে প্রথম স্টেপ শেষ করতে হবে।
এছাড়া ট্রেনের সির যদি ফাঁকা না থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি পরবর্তী স্টেপে যেতে পারবেন না।
ধাপ ৪ঃ গন্তব্যস্থান এবং তারিখ সিট সংখ্যা সিলেক্ট করার পর, আপনাকে এবার পেমেন্ট অপশনে নিয়ে আসবে, একটি টিকিটের মূল্য তার থেকে আপনার কাছ থেকে ২০ টাকা চার্জ বেশি নিতে পারে। আপনার টিকিটের মূল্য যদি ৩৭৫ টাকা হয় সেক্ষেত্রে আপনার টিকিটের মূল্য ট্রিনিটি ৩৯৫ টাকা।
ধাপ ৫ঃ তবে বিকাশ পেমেন্ট করার সময়, আপনি যে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করবেন,। এবং প্রবেশ করার পর টিকিট কনফার্ম হওয়ার পরে, পেমেন্টের সময় বিকাশ থেকে আপনার ফোনে একটি ভেরিফাই ওটিপি আসবে। ওটিপি সঠিকভাবে বসানোর পর আপনাকে আপনার বিকাশের পিন টি প্রবেশ করাতে হবে। বিকাশ পিন প্রবেশ করার পর কনফির্ম বাটনে ওকে করার পরেই আপনার টিকিট নিশ্চিতভাবে ক্রয় করা হবে।
ধাপ ৬ঃ পেমেন্ট করার পর আপনার সামনে চিকিৎসা পিডিএফ আকারে আসবে। এবং সেটা আপনার ফোনে ড্রাইভে সেভ করে নিতে পারেন বা ডাউনলোড করে নিতে পারে। এবার আপনি পিডিএফ ফাইলটি কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে স্টেশন থেকে এটা ফ্রি প্রিন্ট করে নিতে পারেন। আপনি যদি কোনোক্রমে প্রিন্ট না করতে পারেন তাহলে ট্রেনের ভিতর টিটি টিকিট চেক করার সময় আপনার পিডিএফ ফাইল টি ওপেন করে দেখাতে পারেন। এভাবে আপনি ঘরে বসে বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের ক্রয় করতে পারেন।
শেষ কথাঃ আশাকরি উপরের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের একটু হলেও উপকার হবে। আর হ্যাঁ আপনি হয়তো চাইবেন না আপনার আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধব স্টেশন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় নষ্ট করে টিকিট কাটুক,তাই তাদের এই ঝামেলা থেকে মুক্ত করতে। অবশ্যই উপরের আটিকেল টি শেয়ার করবেন। এছাড়া এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আশা করি আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।