আসসালামুআলাইকুম, ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্যে সুখবর আমরা অনেক সময় ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট কেটে রাখি। শুধুমাত্র ভ্রমণের জন্য না আমরা জরুরি কোনো কাজের ক্ষেত্রে যাবার জন্য অগ্রিম টিকিট ক্রয় করি। আমরা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বা টিকিট কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করে থাকি।
আমরা যে অগ্রিম টিকিট ক্রয় করি কোন স্থানে যাওয়ার জন্য, অনেক ক্ষেত্রে সেই স্থানে আমাদের যাওয়া হয়ে ওঠে না। এমন সময় আমাদের টিকিট ফেরত দেয়ার প্রয়োজন পড়ে,জরুরী কোন কাজের জন্য । এমন ক্ষেত্রে আমরা অনলাইনে টিকিট ফেরত দিতে পারি, এছাড়া টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট ফেরত দিতে পারি, আজ আমরা জানবো অনলাইন ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
ট্রেনের টিকিট কেন ফেরত দেওয়া হয়/ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম
ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে ট্রেন সবার ভালো লাগে এছাড়া অনেকেই বাসে করে যাতায়াত বা মাইক্রো করে দূরে গেলে শরীর খারাপ হয়ে থাকে। তাই একটু আরাম আয়েশে যাওয়ার জন্য আমরা ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে থাকি। আর এ কারণেই আমরা অগ্রিম টিকিট ক্রয় করি। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কারণে আমাদের যদি এই ভ্রমণ বাতিল হয়।বা জরুরি কোনো কাজের কারণে না যাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আমরা অগ্রিম টিকিট ফেরত দিয়ে থাকি।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম /ট্রেনের টিকিট বাতিল
যারা ভুলবশত টিকিট কেটে ফেলেছেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট ফেরত বা বাতিল করতে চান তাদেরকে আমি নিচে ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট বাতিল করা যায়।
ধাপ ১ঃe-ticket বাংলাদেশ রেলওয়ে 2022 সালের নতুন নিয়মে ৫ দিন আগে ক্রয় করতে পারবেন। পূর্বের নিয়ম ছিল আপনি ১০ দিন আগে টিকিট সংগ্রহ করতে পারতেন।বর্তমান নিয়মে আপনি ট্রেনের টিকিট ৫ দিন আগে সংগ্রহ করতে পারবেন।
ট্রেনের টিকিট আপনি ৪৮ ঘন্টা বা ২ দিনের আগে ফেরত দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার টিকিটের মূল্য থেকে কিছু টাকা কেটে নিবে।
ধাপ ২ঃ যাত্রার ২ দিন বা ৪৮ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে আপনার সার্ভিস চার্জ কেটে নিবে। আপনার যাত্রার ৪৮ ঘন্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে, টিকিট মূল্য থেকে ২৫% কর্তন করবে। প্রথম শ্রেণীর টিকিট থেকে ৩০ টাকা এসি টিকিট হলে ৪০ টাকা, এছাড়া অন্যান্য টিকিট হলে ২৫ টাকা কেটে নিবে।
ধাপ ৩ঃ কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আপনি যদি ২৪ ঘন্টা বা দুই দিনের ভিতর টিকিট ফেরত দিতে না পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে ৫০% টাকা কর্তন করা হবে।আপনি যদি ২৪ ঘন্টার কম এবং ১২ ঘণ্টার বেশি এই সময়ের ভিতর টিকিট ফেরত দেন। এক্ষেত্রে আপনার ৫০% কর্তন যাবে।
ধাপ ৪ঃ এছাড়া আমরা অনেক ক্ষেত্রে, কোথাও যাবার আগের দিন,জরুরী কোনো কাজের জন্য গন্তব্য স্থানে যাওয়া হয় না, সেক্ষেত্রে আপনার যদি ১২ ঘন্টার কম এবং ৬ ঘণ্টার বেশি সময় হয়ে থাকে তাহলে আপনি টিকিট ফেরত দিতে পারেন। এ সময় টিকিট ফেরত দিলে আপনাকে টিকিটের মূল্য থেকে ৭৫% টাকা কেটে নেওয়া হবে। এছাড়া আপনি যদি এর থেকে কোন সময়ের মধ্যে টিকিট ফেরত দেন, তাহলে আপনার টিকিট মূল্য ফেরত যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
উপরের ধাপ সমূহের মাধ্যমে বাংলাদেশ ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে পারবেন।
ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার আগে মূল্যবান কিছু কথা /ট্রেনের টিকিট ফেরত বাংলাদেশ
আপনারা চাইলে আপনাদের টিকিটটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফেরত দিতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনাদের জানা উচিত, টিকিটটি কোথায় ফেরত দিবেন এবং কিভাবে দিবেন। উপরের আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা জেনেছেন বাংলাদেশ ট্রেনের টিকেট ফেরত দিতে হবে। এবং টিকিট মূল্য থেকে কত পার্সেন্ট কর্তন যাবে।
এবার আপনাদেরকে জানাবো কোথায় আপনাদের টিকিট টি ফেরত দিবেন। আপনারা অনলাইনে বা টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করেন না, কেনো টিকিট ফেরেটের ক্ষেত্রে আপনাদেরকে টিকিট কাউন্টারে যেতে হবে। আপনারা শুধুমাত্র টিকিট কাউন্টারে গিয়েই আপনাদের কাঙ্খিত টিকিটটি ফেরত দিতে পারবেন। আপনি যে স্টেশন থেকে টিকিট ক্রয় করেছেন। সেখান থেকেই আপনার টিকিটটি ফেরত দিতে পারবেন। তবে হ্যাঁ একটা কথা মনে রাখবেন শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অগ্রিম দেয়া হয়ে থাকে।
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন। তারা ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খুব সহজে ট্রেনের টিকিট বাতিল করবেন সেই সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তার পরেও যদি এই বিষয় নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।