পর্তুগাল ইউরোপ মহাদেশের সুন্দর একটি দেশ। পর্তুগালের সারা বিশ্বে থেকে অনেক মানুষ যাই, কাজের সন্ধানে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালে বেশিরভাগ মানুষ যাই।আজকের পোস্টের মাধ্যমে পর্তুগালের ভিসা কিভাবে পাবেন, পর্তুগালে যেতে কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ-
পর্তুগাল ভিসা পাওয়ার উপায়। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
অনেকে জানতে চান Portugal Visa সম্পর্কে। পর্তুগালে যাওয়ার জন্য বেশ উপকার ভিসা পাওয়া যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভিসার নাম দেয়া হলোঃ-কৃষি ভিসা, পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা, এছাড়া পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা উল্লেখযোগ্য। তবে পর্তুগালে বেশিরভাগ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে এসে থাকে। তাই পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী।
Portugal visa online application /পর্তুগাল ওয়ার্ক পরমিট ভিসার জন্য আবেদন কিভাবে করবেন।
পর্তুগালের ভিসার জন্য কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন সেটা জানা অবশ্য জরুরী। কারন আপনাকে পর্তুগাল যেতে হলে ভিসার প্রয়োজন। কারণ আপনি পর্তুগালের ভিসা ছাড়া কোনভাবেই যেতে পারবেন না। পর্তুগাল ভিসার জন্য অনলাইন আবেদনের নিয়মঃ-
🔶প্রথমে অনলাইন থেকে পর্তুগাল ভিসাটির আবেদন পত্র ডাউনলোড করতে হবে। এই ফর্মটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবেন। ফর্মটি ডাউনলোড করার পর প্রয়োজনে তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
🔶এছাড়াও পর্তুগাল ভিসার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট লাগবে তার তথ্য নিচে দেয়া হল ঃ-
🔶আপনার আইডি কার্ড এর ফটোকপি একমাত্র এবং আপনার ছবি নাগরিক সনদপত্র, বিদ্যুৎ বিলের কাগজ, এবং আপনি যে ফর্মটা পূরণ করছেন ফর্মটি নিয়ে পর্তুগাল সকল নথিগুলো পর্তুগাল দ্রুতবাসে যোগাযোগ করে জমা দিবেন
🔶তারপর পর্তুগাল ভিসা ফি জমা দিতে হবে।
🔶এবং ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অপেক্ষা করুন। সাধারণত ভিসা প্রসেসিং হতে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
🔶সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি এয়ার টিকিট করে আপনি পর্তুগাল ভ্রমণ করতে পারেন।
পর্তুগাল যাওয়ার জন্য কোন ভিসা প্রয়োজন /পর্তুগাল ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়।
পর্তুগাল আপনি কোন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি পর্তুগাল যে কাজের জন্য যেতে চান সেই ভিসা নিবেন। আপনি কাজের জন্য যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিবেন। এছাড়া ভ্রমণের জন্য যেতে চাইলে টুরিস্টে ভিসা নিবেন। আপনি যদি এই ইউরোপ মহাদেশের সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বসবাস করে থাকেন। তাহলে আপনার সেনজেন ভিসা নিতে হবে। এদেশের মাধ্যমে আপনি সেখানে 90 দিন অবস্থান করতে পারবেন।
পর্তুগাল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র /Portugal visa recruitments
Portugal Visar জন্য অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রয়োজন হবে। এ সকল নথিপত্র ছাড়া আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন না। নিচে দেয়া হলো যে সকল নথিপত্র আপনার পর্তুগাল ভিসার জন্য প্রয়োজন হবে।
◾আপনার পাসপোর্ট এর কমপক্ষে তিন মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
◾পর্তুগাল এফ এফ এ ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
◾পর্তুগাল ভিসা ফ্রি প্রদান করেছেন তার রশিদ প্রদান করতে হবে।
◾আপনার নামে স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে।
◾পর্তুগাল ভিসার জন্য আপনাকে কভার লেটার বানাতে হবে, সেখানে উল্লেখ করতে হবে যে কতদিন পর্তুগাল ভ্রমণ করবেন, এছাড়া কি উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন এটা উল্লেখ করবেন।
◾টিকিট বুকিং করতে হবে।
◾আপনি পর্তুগালে কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন এর তথ্য দিতে হবে।
◾আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় চেয়ে থাকেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ প্রদান করতে হবে।
◾উপরের এ সকল তথ্য দিয়ে আপনি পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
পর্তুগাল ভিসার আবেদন পত্র কতদিন আগে জমা দিতে হবে /Portugal visa apply
আপনাকে পর্তুগাল ভিসার আবেদন পত্র সরাসরি পর্তুগাল দ্রুতবাসের জমা দিতে হবে। আপনাকে পর্তুগাল ভ্রমণ করার দুই সপ্তাহ আগে আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে।
পর্তুগাল ভিসা ভি /Portugal visa fees
যারা পর্তুগাল যেতে চায় অবশ্যই তাদের ভিসার প্রয়োজন হবে। আর ভিসা নিতে হলে অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে ভিসার নির্দিষ্ট একটি ফি প্রদান করতে হয়। যেমনঃ-
🔺পর্তুগাল সেনজেন ভিসা করতে হলে ৮০ ইউরো খরচ হবে।
🔺 রাশিয়া এবং বাইরে থেকে গেলে সেনজেন ভিসার জন্য ৩৫ ইউয়রো খরচ হবে।
এছাড়া আপনারা পর্তুগালওয়ার্ক পারমিট ভিসার, মেডিকেল ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, এবং টুরিস্ট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ পড়বে।সেটা পর্তুগাল দূতাবাস থেকে জেনে নিতে পারেন।
পর্তুগালের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা
পর্তুগালে যেসব কোন কাজের উপর নির্ভর করে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসার দীর্ঘমেয়াদীর হয়ে থাকে। আপনি মেডিকেলের ভিসা পেতে পারেন এক বছরের জন্য মেডিকেল ভিসাতে একবছরের যে ভিসা দেয়া হয় এটাতে আপনি একাধিক ভাবে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে এটাতে আপনাকে প্রতি তিন মাস অন্তর আপনার দেশে ব্যাক আসতে হবে। এছাড়া আপনি কৃষি ভিসার মাধ্যমে আপনি দীর্ঘদিন পর্তুগালের অবস্থান করতে পারবেন।
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা /পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত
যারা লেখাপড়ার জন্য যেতে চাই তাদেরকে পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই পর্তুগাল কোন স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র দেখাতে হবে। তাহলে আপনি পর্তুগাল যাবার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। আরে স্টুডেন্ট ভিসায় যাবার পর তার পাশাপাশি পার্ট টাইমে জব করে টাকা আয় করতে পারেন।
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে/বাংলাদেশ নিয়ে পর্তুগাল যাওয়ার, নিয়ম
বাংলাদেশের পর্তুগাল যেতে হলে প্রায় আপনাকে ৫৫০ ডলার খরচ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে কাজের পর্যবেল যেতে হলে তাকে শুধুমাত্র ফ্লাইট খরচটা বহন করতে হবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
পর্তুগাল ভিসা ফরম বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ভিসা নিতে হলে, সরাসরি আপনাকে পর্তুগাল এম্বাসিতে যেতে হবে বাংলাদেশের যে পর্তুগালের এম্বাসি আছে সেখানে যোগাযোগ করে। আপনি পর্তুগাল যাবার সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন এবং সেখান থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাই পর্তুগালে ভিসা ফরমের জন্য বাংলাদেশ থেকে আপনি পর্তুগাল দূতাবাসে যোগাযোগ করুন।
পর্তুগাল এক ইউরো সমান বাংলাদেশের কত টাকা
যারা পড়তে গেলে যেতে চান তারা অবশ্যই, জানতে চাইবেন যে পর্তুগাল এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা। পর্তুগালের এক ইউরো সমান বাংলাদেশের ৯৫.৬৫ ৳।সাধারণত টাকার মান কমবেশি হতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে পর্তুগাল ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়া কেনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানবেন আমরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।
আসসালামু আলাইকুম আমি কাতার আছি। আমি কিভাবে আবেদন করবো দয়া করে জানাবেন।
উত্তরমুছুন