ভোটার আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র। যেকোনো দেশের নাগরিক হিসেবে এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। শুধু ভোট প্রদানের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য যেকোনো নাগরিক সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটার আইডি কার্ড এর ব্যবহার অনেক জরুরি৷ আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে আপনার নাম লিখিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার আইডি কার্ড তৈরি সম্পন্ন হয়েছে কি না তা চেক করে নেয়া প্রয়োজনীয়। ভোটার আইডি কার্ড তৈরি সম্পন্ন হয়েছে কি না তা অবশ্যই আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে জানতে হবে এবং সেখানে আপনি নিজেই সেটি দেখতে পারবেন। আসুন জেনে নেই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম সমূহ।
নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব/আইডি কার্ড অনলাইন কপি
আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তারা জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে পারবেন অনলাইনের সাহায্যে। যারা অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে ইচ্ছুক তারা অনলাইন সম্পর্কিত কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করবেন। যার ফলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি দেখতে পাবেন এবং এর সাহায্যে আপনি স্মার্ট কার্ড বা লেমিনেটিং কার্ডের মত সকল কার্যক্রম করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম/ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড২০২৩
ওয়েবসাইট লিংকঃ https://services.nidw.gov.bd/
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন তবে আপনার ফরম নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে যাবতীয় তথ্য পূরণ করে 'ভোটার তথ্য দেখুন' বাটনে ক্লিক করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি আপনার NID নাম্বার দিয়ে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে চান, সেক্ষেত্রে NID নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
ধাপ ২ঃ আবার, নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার আইডি কার্ড দেখার যে নিয়ম টি দিয়েছে তার মাধ্যমে অনলাইনেই মিলবে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এর মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজের 'ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে' এর উত্তর পেয়ে যাবেন। শুরুতে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর আপনি রেজিস্ট্রার লেখা একটা মেনু বার দেখবেন। সেখানে ক্লিক করবেন। পরবর্তীতে নিচে একটি পেজ আসবে। যেখানে আপনার ভোটার স্লিপ এর কিছু তথ্য দিতে হবে। তারপর সাবমিট দিয়ে পরবর্তী ফরম পূরণের জন্য একাউন্ট করতে হবে। সর্বশেষ ধাপে, নিজের মোবাইল নাম্বার প্রদান করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র টি দেখতে পারবেন৷
ধাপ ৩ঃ এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো বর্তমানে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড তথ্য চেক করা। যা খুবই সহজ। আপনার কাছে যদি মোবাইল অথবা কম্পিউটার যেকোনো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসেই ভোটার আইডি কার্ড চেক অথবা ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সুযোগ বাংলাদেশের পুরাতন ভোটার এবং নতুন ভোটার উভয়ের জন্যই সহজলভ্য। বর্তমান প্রজন্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি প্রদান করা হচ্ছে না। পূর্বে এই সুবিধা প্রদান করা হলেও বর্তমানে বেশিরভাগ ভোটার নতুন বা আন্ডার এজ হওয়ায় এই সুবিধাটি শুধুমাত্র অনলাইনে রাখা হয়েছে। যেখান থেকে ভোটাররা চাইলেই তাদের ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি দেখে নিতে পারবেন।
আপনার ব্যবহৃত মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ব্রাউজার ওপেন করুন এবং গুগলে সার্চ করুন। সেখানে ভোটার আইডি কার্ড দেখার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই তা দেখতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম উপরে বলা হয়েছে। এছাড়াও আপনি বাংলাদেশ ভূমি উন্নয়ন সংস্থার নাগরিক নিবন্ধন পেজ থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারেন।
ধাপ ৩ঃ এসব পদ্ধতি ছাড়াও আপনি চাইলে শুধুমাত্র নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ও ঠিকানাসহ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার জন্য আবেদন করতে পারেন। সর্বপ্রথমে আপনি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি সেবা ldtax.gov.bd এ ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করুন।
ধাপ ৪ঃ তারপর নাগরিক কর্নারে ক্লিক করুন। পরবর্তী ধাপে আপনি আপনার বর্তমান অ্যাক্টিভ মোবাইল নাম্বারটি দিন, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখুন এই ফরমেটে- (mm/dd/yyyy)। তারপর আপনি 'পরবর্তী'তে ক্লিক করুন। পরবর্তী ধাপে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার ফোনের স্ক্রিনে যে ব্যক্তির আইডি কার্ড তার নাম ও ছবি আপনি দেখতে পাবেন। যদিও বর্তমানে এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে শুধু নাম-ঠিকানা দেখতে পারবেন কিন্তু ছবিটি আসবেনা। পূর্বে এরকম ছিল না। পূর্বে চাইলে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের ছবিটিও দেখতে পারতেন এই সাইটে। তবে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে নির্বাচন কমিশন এই বিষয় টি বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে, এ পদ্ধতিতে এখন আর চাইলেও আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ছবিটি দেখতে পারবেন না৷
ধাপ ৫ঃ এছাড়াও গুগলে অথবা ওয়েবসাইটে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদানের মাধ্যমে একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে আসবে। যেখানে আপনার মোবাইল নাম্বারে ভেরিফিকেশন এসএমএস পাঠানো হবে। সেখানে একটি কোড নাম্বার থাকবে। যেটি হবে ছয় ডিজিটের। ভোটার আইডি কার্ড দেখার ক্ষেত্রে এই নাম্বারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি মোবাইলে এই কাজ টি করে থাকেন তাহলে অটোমেটিক ভাবে সেখানে আপনার নিজস্ব মোবাইল নাম্বার চলে আসবে। আপনি যদি নাম্বারটি পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই তা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে 'মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন' এ ক্লিক করতে হবে। আর যদি মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে না চান তাহলে সরাসরি 'বার্তা পাঠান' বাটনে ক্লিক করুন। এরপর যথাযথ তথ্য প্রদানের পর আপনার কাঙ্খিত ভোটার আইডি কার্ডটি দেখুন।
ধাপ ৬ঃ এভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে পারবেন এবং তা অনুসরণ করলে ভোটার আইডি কার্ড দেখার ব্যাপারে আর কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
শেষ কথাঃ আশা করি পোস্টটি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন, এছাড়া ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম,ক্ষেত্রে যদি কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আশাকরি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ