চোখ উঠার লক্ষণ
চোখ ওঠার কারণ
চোখ ওঠার ঘরোয়া সমাধান
চোখ ওঠার কারণ কী
চোখ ওঠার লক্ষণ এবং ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
এ সময়ে শিশু কিনবা বৃদ্ধ সবার চোখ উটছে।আসলে এ সময় চোখে সবার ভাইরাস হয়ে থাকে। এ ভাইরাস এ পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে সবাই আক্রান্ত হয়।
চোখ ওটা কি ছোঁয়াচে
অবশ্য চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ।
এটি একটি সংক্রমণ জনিত রোগ। এ ভাইরাসের নাম কনজাংটিভাইরাস।এটি বর্তমানে মহামারির পর্যায়ে আকার নিয়েছে।যা বাংলাদেশ ৯০% মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সাধারণ ভাষায় যাকে আমরা চোখ ওঠা বলি,এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ।
আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসলে আপনার ও চোখ উঠতে পারে। যেমন আক্রান্ত ব্যাক্তির চশমা, গামচা,টিস্যু পেপার রুমাল,ইত্যাদি ব্যবহার করলে চোখ এ ভাইরাস হতে পারে।তাই যতটুকু সম্ভব আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছে থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করবেন।
এবং আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহার করা জিনিস আলাদা করে রাখবেন।
চোখ ওঠার প্রধান কারণ অসাস্থ কর পরিবেশ এবং চোখের যত্ন না নেবার করাণে হয়ে থাকে।
আমরা প্রতিনিয়িত রাস্তা ঘাটে,এবং বাজারে ঘোরাঘুরি কররে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসা হয়। আর এ ভাবেই আমরা প্রতিনিয়িত আক্রান্ত হচ্ছি।
আপনার চোকে ভাইরাস এ আক্রান্ত হলে প্রথমিক কি ভাবে বুঝবেন।তা নিচে বিস্তারিত লেখা হলোঃ
চোখ ওঠার লক্ষণ
চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভা লাল বা টকটকে লাল হবে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে। চোখ চুলকাবে,
প্রথমে এক চোখে আক্রান্ত হবে, পরে আরেক চোখে হবে।সকালে চোখ খুলতে কষ্ট হবে,চোখের পাতা বুজে যাবে।চোখে পুঁজ হবে।চোখে জ্বালাপোড়া করবে।
চোখ বন্ধ হয়ে যাবে।এবং চোখে ঝাপসা দেখবে।
সাধারণত চোখে ভাইরাস এ সক্রমিত হলে এ সকল সমস্যা হবে।
ঘরোয়া চিকিৎসা
চোখ ওঠার ঘরোয়া চিকিৎসা
চোখ উঠলে ওষুধ
চোখে ভাইরাস হলে আপনি প্রথমিক ভাবে চোখের যত্ন নিবেন। নরম সুতি কাপড় নিবেন,এবং গরম পানি দিয়ে ভাব দিবেন। আপনি চাইলে তুলাও ব্যবহার ও করতে পারেন। এ ভাবে আপনি দিনে দুই বার করতে পারেন।
এ ছাড়া আপনি তার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে সেক দিতে পারেন। চোখের উপর চাপ পড়ে এমন কেনো কাজ করবেন না। যেমন বেমি মোবাইল টিপা,কম্পিউটার চালানো, ছোট ছোট লেখা পড়া, এ সকল কাজ থেকে দুরে থাকবেন।
চিকিৎসক এর পরমর্শ
সাধারণত চোখ ওঠা বা ভাইরাস এক সপ্তাহ থাকে। তার পর ভালো হয়ে যাই।তবে নিচের লক্ষণ গুলো দেখলে অবশ্য চিকিৎসক এর পরমর্শ নিবেন
★দুই সপ্তাহের বেশি চোখে ভাইরাস থাকলে অবশ্য চিকিৎসক এর পরমর্শ নিবেন।
★চোখ সকালে খুলতে না পারলে।
★চোখে বারবার ময়লা জমলে।
★অতিরিক্ত চোখ চুলকালে এবং জ্বালাপোড়া অনুভূতি হলে।
★দীর্ঘদিন বাচ্চাদের চোখ লাল থাকলে।
★আলোর দিকে না তাকাতে পারলে।এবং চোখে ব্যাথা অনুভব করলে।চোকে ব্যাথা অনুভব করলে একে ফটোফোবিলা বলে।
★চোখ দিয়ে পানি ঝরা বন্ধ না হলে।
★ চোখের দিষ্টি তে পরিবর্তন আসলে।
★ চোখে ঝাপসা দেখলে।
★এছাড়া চোখ দিয়ে পুঁজ পড়লে অবশ্য চিকিৎসক এর পরমর্শ নিবেন।
বাচ্চাদের চোখে ওঠার ড্রপ
চোখ উঠলে ওষুধ
চোখ উঠলে করণীয়
চিকিৎসা দেওয়া হয় আপনার কনজাংটিভাইরাসের উপর, ভাইরাস আপনার চোখের উপর কি ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে সেটা দেখে চিকিৎসক তার চিকিৎসা করবেন।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে চোখ উঠলে চিকিৎসক আপনার ৪/৬ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করার জন্য এন্টিবায়োটিক আইড্রফ দিতে পারেন, এবং রাতে ব্যবহার করার জন্য মলম দিবেন।
ভাইরাস বা এ্যালাজির কারণে চোখ উঠলে আপনার হিস্টামিন বা এন্টিআ্যালাজির ওষুধ দিবেন।আইড্রফ মলম দিতে পারেন। এছাড়া রোগীর যাতে এ্যালাজি হয় সে সব থেকে দুরে থাকতে হবে।
ভাইরাস হলে যে সকল কাজ করবেন,এবং যে কাজ গুলো করবেন না।
চোখ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। চোখে ধুলাবালি যাতে পা পড়ে তার জন্য চশমা ব্যবহার করতে হবে, রোদের সময় খালি চোখে বাইরে যাওয়া যাবে না।কম আলো তে পড়াশোনা বা কেনো কাজ করা যাবে না।মোবাইল এবং কম্পিউটার টিপা বন্ধ করতে হবে।
হাচি কাশি দেবার সময় মুখ ঢেকে দিতে হবে।বালিশের কভার, রুমাল চশমা নিয়মিত ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
কেনো ভাবেই চোখ ডলাডলি করা যাবে না। চোখ পরিষ্কার করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
এ্যালাজি থেকে রক্ষা পেতে চশমা ব্যবহার করবেন।কেনো আইড্রফ এর মুখ খুললে তা ৩০ দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না।
নিজেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করবেন।
আমাদের শেষ কথা
চোখ উঠলে ভয় পাবার কেনো কারণ নেই।কারণ চোখ উঠলে এটা ৫/৭ দিনের ভিতর সেরে যাই।
চোখ উঠলে প্রাথমিক ভাবে জ্বালাপোড়া হলে চোখে ব্যাথা অনুভব করলে অনেকেই ভয় পাই।
তাই চোখে ভাইরাস হলে কেউ ভয় পাবেন না।