খুবই পরিচিত ডিমের ব্যবসা। প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে এ ব্যবসা।বর্তমান বাংলাদেশে বেকারত্ব হার অনেক বেশি। তাই এই বেকারত্ব ঘোচাতে আমাদের কে উদোক্তা হতে হবে। আর উদোক্তা হতে হলে আমাদের ব্যবসা করতে হবে।
আমারা ভাবী যে কি করবো। কিসের ব্যবসা করবো। এছাড়া ব্যবসা করতে তো অনেক টাকা লাগে। তাহলে কি ভাবে ব্যবসা শুরু করবো। এমন টা যারা চিন্তা করেন আজকের পোষ্ট টি তাদের জন্য।
তো আপনাদের জন্য ডিমের ব্যবসা টি ভারো হতে পারে।কারণ ডিমের ব্যবসা করতে বেশি পুজির দরকার হবে না। এছাড়া এটা বহু পুরাতন ব্যবসা।
বর্তমান সময়ে প্রতিটি পরিবারে ডিম ছাড়া চলেই না।বিভিন্ন বেকারি, তো প্রচুর পরিমানের ডিম প্রয়োজন হয়ে থাকে। ডিম আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাই ডিমের ব্যববসা আইডিয়া, এটা খুবই লাভ জনক হবে।
কারণ ডিমের ব্যবসাতে লাভ আছে বলেই এটা এখনো টিকে আছে। ডিমের ব্যবসা শুধুমাত্র দোকানে বসেই করবেন তা কিন্তু নয়,আপনি চাইলে বিভিন্ন বেকারিতে ডিম সাপ্লাই দিতে পারেন। এছাড়া আপনি আরো অনেক কিছু করতে পারেন।
তাহলে চরুন আমরা আজকে জানবো অল্প পুজিতে একটি ব্যবসা,ডিমের ব্যবসা।
ডিমের ব্যবসা
# ডিমের ব্যবসা শুরু করার নিয়মঃ
ব্যবসা শুরু করার আগে সুন্দর একটি পরিকল্পনা করতে হয়।তাই সর্ব প্রথম সুন্দর ভাবে পরিকল্পনা করেত হবে।
⏺️আপনি কি ভাবে ব্যবসা করবেন
★ দোকান দিয়ে ব্যবসা করবেন।
★ নাকি ভ্যান গাড়ি নিয়ে ব্যবসা করবেন।
★ আপনি বেকারি তে ডিম সাপ্লাই দিয়ে ও ব্যবসা করতে পারেন।
★ পাইকারিভাবে ডিম দোকানে দোকনে দিতে পারেন।
★ এছাড়া আপনি ডিম সিদ্ধ করে বিক্রি করতে পারেন।
⏺️স্থান নির্বাচন করুন
আপনি যদি দোকান দিয়ে ডিমের ব্যবসা করতে চান তাহলে স্থান নির্বাচন করতে হবে। কারণ ব্যবসার ক্ষেএে স্থান নির্বাচন করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।যেটা সব ব্যবসায়ি করে থাকে। যেহেতু আপনি নতুন ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাই আপনার স্থান নির্বচন করতে হবে।
এছাড়া আপনি ব্যবসা ছোট আকারে না বড় আকারে করতে চাচ্ছেন সেটা ঠিক করতে হবে।
আপনি আরো কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন যেমনঃ বাজারে হাঁস এবং মুরগির ডিম পাওয়া যাই। এক্ষেত্রে আপনি কোন ডিম দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন।
সেটা নির্বচন করবেন।আপনি চাইলে দুই ধরণের ডিম দিয়ে শুরু করতে পারেন।এছাড়া বাজারে কয়েল পাখির ডিমও পাওয়া যাই।
# পুঁজি
আপনি যে ব্যবসা করেন না কেনো আপনার পুঁজি লাগবেই।তাই ডিমের ব্যবসা করতে খুব বেশি পুজি লাগে না। আপনার কম পুজি হলে ঝুড়িতে করে ডিম বিক্রি করতে পারেন। এর থেকে বেশি হলে ভ্যান করে ব্যবসা করতে পারবেন, আপনার যদি তার থেকে বেশি হয়ে থাকে তাহলে পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। আপনার কাছে যদি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ডিমের ব্যবসা করতে পারেন সুন্দর ভাবে।
# পাইকারিভাবে ডিম সংগ্রহ করবেন কোথায় থেকে?
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বাজার রয়েছে।আপনার নিকট বর্তী স্থান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
যেমনঃ ঢাকা কারওয়ান বাজার এ পাইকারি ডিমের বাজর আপনি চাইলে সেখানে থেকে ডিম সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া আপনার যে জেলাতে বাসা তার আশেপাশে যেখানে ডিমের খামার পাবেন সেখান থেকে ডিম সংগ্রহ করবেন।
বর্তমান পাবনাতে অনেক ডিমের খামার গড়ে উঠেছে, তাই সেখানে থেকেও ডিম পাইকারি ভাবে কিনতে পারেন।
তাই আপনাদের সুবিধাতে কিছু খামারিদের ঠিকানা দিলামঃ
ঢাকার ভিতরে ঃ কামরাঙ্গারচর, বেরো বাজার, টেকের হাট, মুরগী ফার্ম।
ফোন নাম্বার ঃ০১৯১৩ ৮৬২১১৩
আশা করি আপনারা এ নাম্বারে যোগাযোগ করলে সকল সুবিধা পেতে পারেন।
ঢাকার আশেপাশে নবীননগর, সাভার, কুরঁগাও, আশুলিয়া
এছাড়া আপনার যোগাযোগ করতে পারেন এ নাম্বার
০১৭৩৯৭৭৯০৫১
⏺️অনলাইনে ডিম বিক্রি
আপনি চাইলে পাইকারি বা খুরচা ভাবে,অনলাইনে ডিম বিক্রি করতে পারেন।
ভাবছেন অনলাইনে কি বাবে ডিম বিক্রি করবেন, এবার বলি। আসলে অনলাইনে ব্যবসা খুবই সহজ।আপনি যেকেনো জিনিস অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি চাইলে ফেসবুকে পেজ খুলে ডিমের প্রচার করতে পারেন। এছাড়া ওয়েব সাইটে প্রচার করতে পারেন।
এছাড়া আপনি ফেসবুকে লাইভে আসতে পারেন বিভিন্ন ভাবে প্রচার করতে পারেন, আপনি যদি সুলভ মূল্যতে ডিম বিক্রি করতে পারেন।
⏺️ডিমের বাজার পরিস্থিতি
বর্তমান ডিমের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ ডিম সহজ লভ্য হওয়াতে সবাই পছন্দ করে। এছাড়া ডিম রান্না করাও অনেক সহজ এবং এর পুষ্টি গুন ও অনেক বেশি।এখন বাসা বাড়ি হোটেল বেকারি সব জাগাতে ডিম লাগে। তাই ডিমের বাজার পরিস্থিতি খুবই ভালো।আপনি চাইলে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
⏺️ডিমের ব্যবসায় লাভ কেমন
আদিম কাল থেকে ডিমের ব্যবসা চলে আসছে। লাভ না থাকলে কেনো ব্যবসা টিকে থাকে না।তাই ডিমের ব্যবসাতে লাভ আছে।আপনি যদি বুঝে করতে পারেন।
আপনি যদি মুদির দোকান দিয়ে ডিম বিক্রি করেন তাহলে আপনার এক থেকে দেড় জাহার টাকা লাভ থাকবে।
এছাড়া আপনি যদি ভ্যানে করে হকারি করে ডিম বিক্রি করেন তাহলে প্রতি দিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা লাভ করতে পারেবেন।
আসলে ডিমের ব্যবসায় আপনি কত টাকা পুজি খাটাচ্ছেন সেটার উপর আপনার লাভ নির্ভর করবে।
তাই উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনি ডিমের ব্যবসা করতে পারেন।
⏺️ডিমের ব্যবসায় ঝুঁকি
ডিমের ব্যবসাতে ঝুঁকি নেই বলেই চলে।কারণ ডিম প্রতিনিয়িত বিক্রি হয়ে যাই।আপনার এক জাইগাতে হালকা ঝুঁকি রয়েছে সেটা হলো, ডিম সরবরাহ করার সময় গাড়ি দূর্ঘটনা ঘটলে সে সময় ক্ষতি হবে।এ জন্য অভিজ্ঞ ডাইভার দিয়ে গাড়ি চলাতে হবে। এছাড়া গরমের সময় ডিম ঘোলা হয় এবং পচে যাই।তবে এটা খুব বেশি হয় না। তাই ডিমের ব্যবসা ঝুঁকি কম।
⏺️কাস্টমর বৃদ্ধির উপায়
ডিম বিক্রি বৃদ্ধি করতে হলে, আপনাকে ব্যাপক হারে প্রচার করতে হবে, এছাড়া হোটেল রেস্টুরেন্ট বেকারি মুদি দোকান সবার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। নিজের লাভ রেখে যতটা কম দামে ডিম বিক্রি করতে হবে।
⏺️সতর্কতা
ডিম সরবরাহ করার সময়, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে ডিম ভেঙ্গে যাবে।এছাড়া ডিম আনা নেওয়া করতে ৫ % ভেঙ্গে যাই। তাই যত টুকু সম্ভব সেভ করতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
আপনি যে ব্যবসা করেন না কেনো আপনাকে কঠোর প্ররিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন। তাই আপনি চাইলে ডিমের ব্যবসা করে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আপনার ব্যবসা চোট কিনবা বড় হোক সেটা আপানার।তাই সেটা সততার সাথে করার চেষ্টা করবেন।