ফলের ব্যবসা

fruits  business



আপনি কি ব্যবসা করবেন খুজে পাচ্ছেন না।তাহলে আজকের পোষ্ট টি  আপনার জন্য। আজকে আমি আপনাদের যে ব্যবসার কথা বলবো সেটি হলো ফলের ব্যবসা এটা আমাদের অতি পরিচিত একটা ব্যবসা।যেটা ছোট বড় সবার প্রিয়,আর ফল কে না খেতে চাই। বর্তমানে এ ব্যবসা টি খুবই জনপ্রিয়।তা চলুন জেনে নেওয়া যাক। 


ফলের ব্যবসার আইডিয়া 


ফল  সবাই  পছন্দ করে। ছোট বড় সবার প্রিয় খাবার। বর্তমান সমাজে আত্মীয় স্বজনের বাসায় গেলে ফল নিবেই।মানুষের বাড়িতে গেলেও নাস্তা হিসাবে ফল দেয়।এছাড়া সকালের নাস্তা তে ফল। অসুস্থ রোগী দেখতে ফল। ফল আমাদের দৈনিক জীবনের সাথে মিশি রয়েছে।এ কথায় ফল ছাড়া আমাদের চলেই না। তাই ফলের ব্যবসার আইডিয়া কে সবাই গুরুত্ব দিচ্ছে। তা চলুন

ফুট বিজনেস


ফলের ব্যবসা কি ভাবে করবেন তার বিস্তারিত জেনে নিই  ঃ

আপনি ফলের ব্যবসা তিন ভাবে করতে পারেন


১/ পাইকারি বিক্রিতা


২/ দোকান দিয়ে বিক্রি ও


৩/ হকারি করে বিক্রি। 



পাইকারিভাবে ভাবে ফলের ব্যবসা


আপনি চাইলে পাইকারি ভাবে ফলের ব্যবসা করতে পারেন।এ ভাবে ব্যবসা করলে আপনি অধিক লাভবান হবেন। কারণ আপনি কৃষক এর কাছে থেকে সরাসরি ফল সংগ্রহ করে পাইকারি বিক্রি করবেন।


বর্তমান বাংলাদেশে সব স্থানে কমবেশি ফল উতপাদন হচ্ছে, তাই আপনি চাইলে পাইকারি ফলের ব্যবসা করতে পারেন।


পাইকারি ব্যবসা করতে আপনার একটু পুজি বেশিই লাগবে। এক থেকে দুই লক্ষ টাকা মত পুজি লাগবে আপনার। তাই আপনার কাছে যদি পুজি থাকে তাহলে আজই পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

আমাদের দেশে বার মাস ই ফল পাওয়া যাই।


আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু,আনারস,জলপাই,লেবু,মালটা,কমলা,পেয়ারা,

ডাগনফল,কলা এছাড়া আরো অনেক ফল রয়েছে, আর এ সব ফল বার মাস পাওয়া যাই,


তাই আপনি চাইলে পাইকারি ফলের ব্যবসা করতে পারেন এ সকল ফল নিয়ে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফল সংগ্রহ করে পাইকারি বিক্রি করতে পারেন। ফলের ব্যবসা করে মাসে পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার টাকা আয় করতে পারেন। 




ফলের দোকান fruit business profit


আপনি চাইলে ফলের দোকান দিয়ে আয় করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার একটি বাজারে দোকান নিতে হবে। তার বিভিন্ন ধরণের ফল সংগ্রহ করতে হবে। এবং তা দোকানে বিক্রি করতে পারেন। 

এর জন্য আপনার বেশি পুজির দরকার হবে না। আপনি পঞ্চাশ হাজার টাকর মত পুজি খাটিয়ে এ ফলের দোকান দিতে পারবেন। ফলের দোকান এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে বিশ থেকে এিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 


ফলের দোকান স্থান নির্নয়


আপনি ফলের দোকান যে কেনো স্থানে দিতে পারেন। তবে কিছু কিছু স্থান আছে যে সেখানে দোকান দিলে আপনার বিক্রি বেশি হবে যেমন বাজারে, এবং বাস টারমিনালে এ এছাড়া হাসপাতল এর সামনে এ সকল স্থান এ দিলে ভালো হয়।তারপর ও আপনার সুবিধা মত দিতে পারেন দোকান।



হকারি ফল বিক্রি 


হকারি করে ফল বিক্রি করতে পারেন। এর ফলে আপনার লাভের পরিমান বেশি হবে।কারণ আপনি পাইকারি বিক্রেতার কাছে থেকে ফল সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারেন। অল্প টাকায় ফল ক্রয় করে অধিক দামে বিক্রি করতে পারেন। 


হকারি করে বাসের ভিতর ট্রেনের ভিতর ফল বিক্রি করতে পারেন। এর ফলে আপনার পুঁজি ও কম লাগবে এবং অধিক লাভবান হবেন। 


৫থেকে সাত হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। আপনার কাছে যদি সামান্য কিছু টাকা থাকে তাহলে আপনি এ ব্যবসা করতে পারেন। এতে আপনার বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। আপনি চাইলে গ্রামে গ্রামে ফল বিক্রি করতে পারেন। 


ফলের লাভজনক ব্যবসা আপনি সব স্থানে করতে পারেন। গ্রামে ফলের ব্যবসা, করতে পারেন। আসলে ফলের ব্যবসা শহর কিনবা গ্রামে সব স্থানে করতে পারেন। এ ব্যবসা আপনি বার মাস করতে পারেন।এ ব্যবসার ফলে আপনি প্রতি মাসে বিশ থেকে এিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। 



ফলের ব্যবসায় কেমন লাভ


আপনার ব্যবসা যদি সততার সাথে করতে পারেন তাহলে এ ব্যবসা থেকে আপনি অধিক পরিমানে লাভ করতে পারবেন। ধরুন আপনি বাজার থেকে পোয়ারা কিনলেন ৩০ টাকা কেজিতে সেটা খুচরা বিক্রি করলেন ৬০ টাকা কেজি এখনে আপনার প্রতি কেজিতে ৩০৳ থাকছে তাহলে আপনি যদি প্রতি দিন গড়ে ২০ কেজি ফল বিক্রি করতে পারেন, তাহলে আপনার। প্রতি দিন আয় হবে। ৬০০ টাকা তাহলে মাস শেষ আপনি আয় করছেন ১৮ হাজার টাকা। 

আপনি যখন দোকান দিবেন বা খুরচা বিক্রি করবেন তখন তো আপনার কাছে আরো অন্যান্য ফল থাকবে সে সকল ফল বিক্রি করে আরো আয় করবেন তাহলে সব মিলিয়ে প্রতি মাসে গড় আপনি ৩০থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। 



আমাদের শেষ কথা ঃ ফলের ব্যবসা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। উপরের পোস্ট টি পড়ে আপনাদের কেনো কিছু জানার থাকলে অবশ্য আমাদের কে কমেন্ট করে জানাবেন,আশা করি আপনাদের সকল কমেন্ট এর উওর দেবার চেষ্টা করবো।


ধন্যবাদ 





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন