চুলের কাটিং ও চুলের যত্ন



মানুষের সৌন্দর্য  প্রকাশ পাই অনেকটা তার চুলে।তাই সবাই চুলের কাটিং এর উপর গুরত্ব দেয় বেশি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে চুল কাটিং ও সেমন ভাবে দিতে হয়।


বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছেলে এবং মেয়েরা চুলের কাটিং দেয়।যেমন ঈদের সময় পুজার সময় এছাড়া বিয়ের সময়, এছাড়া প্রতি মাসে তো চুলের কাটিং দিয়ে থাকে বিভিন্ন স্টাইলে। সেলিব্রেটিতে হেয়ার স্টাইল করা একটা সখ।ছেলে মেয়েদের পরিপাটি হওয়া মনেই নতুন চুলের কাটিং। এই গরমের সময় চুল ছোট করে কাটাই উওম।এ ছাড়া সারা বিশ্বে এখন ছোট করে চুল কাটতে দেখা যাই।

নিচে চুলের কাটিং এবং চুলের কাটিং ছবি সহ দেওয়া হলোঃ

ক্লাসিক কাটিং



ক্লাসিক কাটিং -


ছেলেদের অনেক প্রিয় একটি কাটিং ক্লাসিক।এটা অধিক অংশ ছেলে পছন্দ করে। এই কাটিং ছেলেদের মাথা এবং মুখের সাথে মানিয়ে যাই।এই কাটিং এর বিশেষত্ব হলে মাথার এক পাশে সিথি করে আচরানো।বর্তমান একটা জনপ্রিয় চুল কাটিং



বাজ কাটিংবাজ কাট

বাজ কাটিং -



বাজ কাটিং হলো একটি আধুনিক কাটিং।যারা খেলা দেখতে পছন্দ করে তারা এমন কাটিং দেয়।কারণ খেলোয়ারা এমন কাটিং বেশি দিয়ে থাকে।সাধারণত চুল কে ভাজ করে রাখা হয়।এই কাটিং এ গোসল করার পর চিরুনি করা লাগে না।


স্পাইক কাটিং



স্পাইক কাটিং -



সাধারনত এ ভাবে চুল কাটিং ছোট করে রাখা হয় আর জেল ব্যবহার করা হয়। চুলের কাটিং এর মধ্যে এটা একটা বেস্ট কাটিং।


ক্লাসিক বর কাটিং -


ক্লাসিক বর কাটিং মুখমন্ডল এর সাথে মিল রেখে কাটা হয়ে থাকে।সাধারণত যাদের মাথার চুল হালকা তারা এ কাটিং দিয়ে থাকে। এভাবে চুল কাটিং করলে অনেক সুন্দর দেখতে লাগে।



রাহুল কাটিং -


নব্বইয়ের দশক এর সবাই এই কাটিং কে ভালো চিনবে। এটা অনেক সুন্দর মানাই বাচ্চাদের। তাই এই কাটিং বাচ্চাদের বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। রাহুল কাটিং নাম টি ভাবে হয়েছে তা সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারে না। তাবে রাহুল কাটিং এর নাম বেশ প্রচালন রয়েছে। সে কালের নায়ক দের হয় তো বা, বর্তমান তরুন প্রজন্মের অনেকেই চিনে না। তবে তার কাটিং টা সবাই চিনে।









চুলের যত্ন করনীয় 


হেয়ার স্টাইল করার জন্য শুধুমাত্র সুন্দর ভাবে চুলের কাটিং করলে হবে না। চুলের যত্ন নিয়ে হবে তাছাড়া। সব কিছুই লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। কারণ চুলের যত্ন না নিলে মাথার চুল ঝরে যাবে। তখন আর কেনো কিছু করা যাবে না। তাই আপনি যেমন চুলের কাটিং দিবেন তেমনি চুলের যত্ন নিতে হবে।


চুলের যত্নে ২০ টি টিপস্ 


১/ চুলের সুরক্ষিত রাখুন


সব সময় চেষ্টা করবেন ধুলাবালি থেকে দুরে থাকতে কারণ চুলের বেমির ভাগ সমস্যা হয় এই ধুলাবালি থেকে। এছাড়া রোদে ভিতর কম যাবেন। 

ধুলা বালি চুলের গোড়ায় জমা হয় এবং চুল পড়া শুরু করে। তাই এ থেকে রেহায় পেতে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন



২/ ভেজা চুল বেঁধে না রাখা 


মেয়ে রা গোসল এর পর বেজা চুলকে রাখবেন না তাহলে চুল নষ্ট হয়ে যাবে। 

কারণ ভেজা চুল ভঙ্গুর। চুলের গোড়া থেকে ভেঙ্গে যাই, তাই গোসল এর পর চিরুনি করা থেকে বিরতি থাকুন।




৩/ সঠিক ভাবে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন


মাথায় ধুলোবালি চরার পথে পড়ে। তা থেকে মুক্তি পেতে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানের শ্যাম্পু ব্যবহার করা চুলের জন্য ক্ষতি কারক।তাই পরি মান মত ব্যবহার করবেন।


৪/ চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার


চুলকে একটু স্টাইলিশ করতে আমরা ব্যবহার করি।কন্ডিশনার চুলকে মসৃণ করে। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে চুলের গোড়া থেকে একটু উপর থেকে দাওয়া ভালো হয়। এটা সাধারণত চুলের গোড়ায় দিকের কাজ না এটা উপরের দিকে কাজ। অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করার চুলের জন্য ক্ষতিকারক অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল তৈলাক্ত করে তোলে। 


৫/একই হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন 


চুলের যত্বনে  আমরা বিভিন্ন ধরণের হেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করে থাকি তাই। এটা যেনো একই কোম্পানির হয়ে থাকে। 


৭/অতিরিক্ত চুলে হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকা 


আমরা গোসলের পর চুল পেকে গেলে চুল শুকানোর জন্য চুলে হিট দিয়ে থাকি। এছাড়া চুলে কালার করার সময় হিট দেই তারপর চুল কোকড়ানোর জন্য জেগে থাকি বা কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য হিট দিয়ে থাকি। তাই চুলে অতিরিক্ত হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 


৮/ভেজা চুল মুছার জন্য তোয়ালে ব্যবহার করুন 


আমরা ভেজা চুল মোছার জন্য তোয়ালে ব্যবহার করব কারণঃ ভেজা চুল নরম থাকে এবং জোরে চাপ প্রয়োগ করলে ছিড়ে যায়। তাই ভেজা চুল মোছার জন্য তোয়ালে ব্যবহার করুন এবং আস্তে আস্তে চাপ প্রয়োগ করুন।



৯/টাইট করে চুলের বেনি করবেন না 


মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাত্রে ঘুমানোর আগে চুলের বেনি করে ঘুমায়। চুলের বেনী করা ভালো তবে, চুলের বেনি আটি শুটি বা টাইট করলে করলে সেটা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে এসব গুলো খেয়াল রাখতে হবে। 



১০/ চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন 


চুলের যত্নে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হবে। কারণ চুলের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান যে বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে সেটা চুলের তেল ব্যবহার কারিদের নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। কারণ চুলের জীবন তেলে।


১১/চুলের যত্নে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন 



গরম পানি চুলকে ডেমেজ করে। আবার শীতকালে গোসলের সময় অনেকেই গরম পানি ব্যবহার করি। কিন্তু এই গরম পানি ব্যবহারের ফলে আমাদের চুলকে ডেমেজ করে থাকে। তাই গরম পানিতে গোসলের সময় আমরা পরিহার করব। গোসল করব গরম পানিতে কিন্তু মাথার চুল ভেজাবো ঠান্ডা পানি দিয়ে। চুলের যত্নে, খুঁটিনাটি বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবেতাহলেই আপনি আপনার চুলকে সুন্দর মসৃণ এবং কখনো মজবুত এছাড়াও লম্বা করতে পারবেন।



১২/হট অয়েল ম্যাসাজ


চুলের পুষ্টি জোগাতে হট অয়েল ম্যাসাজ এর বিকল্প নেই। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যায় কোকোনাট অয়েল আমলা অয়েল অ্যালোভেরা অয়েল ইত্যাদি তেল পাওয়া যায়।  এ সকল তেল ব্যবহার করলে চুলের পুষ্টি গুন বাড়ে।



আমাদের শেষ কথা, চুলের যত্নে আমরা বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করাও চুলের জন্য ক্ষতিকারক। তাই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রসাদের ব্যবহার করব অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করে নিজের চুলকে ক্ষতি করব না। 



এছাড়াও চুলের কাটিং আমরা অনেক দেখলাম উপরের পোস্টে এছাড়া আরও বিভিন্ন চুলের কাটিং রয়েছে। আশাকরি উপরে পোস্টটি পড়ে এবং দেখে আপনাদের ভালো লাগবে এছাড়া চুলের যত্নে নতুন কোন টিপস বা কোনো তথ্য পেতে আমাদেরকে কমেন্ট করুন আশা করি উত্তর দেয়ার চেষ্টা। 



ধন্যবাদ সবাইকে 

আসসালামু আলাইকুম। 



চুলের কাটিং 2024

চুলের স্টাইল 

হেয়ার স্টাইল 









একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন