চুলকানি দূর করার ঘরোয়া সমাধান

চুলকানির ঘরোয়া সমাধান


চুলকানি ( ইংরেজিতে প্রুটিরাস নামে পরিচিত) চুলকানি এমন একটি সমস্যা যা আমাদের কে অস্থির করে তোলে। চুলকানি আমাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে হতে পারে, 


চুলকানি কেনো হয়? 


আমারা রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করি,এর ফলে আমাদের শরীরে ধূলা বালি পড়ে, এছাড়া আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন পশুপাখির সংস্পর্শে আসি, ইত্যাদির ফলে আমাদের শরীরে চুলকানি হয়ে থাকে।



চুলকানির ঘরোয়া সমাধান


ত্বকের চুলকানি একটা বিব্রতকর সমস্যা, ঘরোয়াভাবে চুলকানির সমাধান করতে হবে সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই, আপনি চুলকানির ঘরোয়া সমাধান করতে পারবেন।



১.পেয়ারা পাতা, ঘরোয়াভাবে চুলকানি সমস্যা সমাধান করতে হলে পেয়ারা পাতার সুন্দর ভাবে বেটে সারা শরীরে মাখলে  চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। 


২.নারকেল তেল ও জলপাইয়ের তেল

নারকেল তেল এবং জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলেচুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নারকেল তেল এবং জলপাইয়ের তেল প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে ব্যবহার করতে হবে।


৩.টি টিঅয়েল 

টি ট্রি অয়েল ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে আবারণ সৃষ্টি করে যার ফলে আমাদের ত্বকে চুলকানি থেকে রক্ষা পায়। ট্রি অয়েল প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হবে। 


৪.পর্যাপ্ত পানি 

চুলকানিতে রক্ষা পেতে শরীরের ত্বকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে হবে না। শরীরের ভেতরের দিকে বিবেচনা করতে হবে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে শরীর ভালো থাকে আর আর্দ্র থাকার ফলে শরীরের চুলকানি প্রবণতা কমে যায়।


৫.ব্রেকিং সোডা 

গোসল করার সময় পানির সাথে ব্রেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করলে ত্বকের প্রতি ভালো হয়। সেনসিটিভ ত্বক, এর ক্ষেত্রে বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করলে ত্বক ভালো থাকে এবং চুলকানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


৬.ভিটামিন ডি 


শীতের দিনগুলিতে আমাদের চুলকানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শরীরে ভিটামিন ডি কতটুকু আছে তার উপর নির্ভর করে চুলকানির। ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কমে গেলে শরীরে চুলকানি পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই এদিকে খেয়াল করতে হবে তারা ভিটামিন ডি এর পরিমাণ শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। 


.ওমেগা থ্রি 

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আমাদের শরীরের চুলকানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 


৮.অ্যালোভেরা 


সেনসিটিভ ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার গুরুত্ব অপরিসীমতাই চুলকানি হলে অ্যালোভেরার জেল বের করে সেই স্থানে লাগালে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। 

এছাড়া আরো অনেক প্রাকৃতিক উপকরণ রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে চুলকানি প্রতিরোধ করা সম্ভব। 




চুলকানি দূর করার ঔষধ



★ টোর্কোডার্ম প্লাস ক্রিম, সাধারণত চুলকানি হলে এই ক্রিম ব্যবহার করা হয়, শুধুমাত্র ত্বকে ব্যবহার করার জন্য। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ক্রিম ব্যবহার করবেন, কারণ এতে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। 



এলাটল 

সাধারণত চুলকানি হলে ফার্মেসি থেকে এলারটল বলি কিনে আপনি খেতে পারেন। এই বড়ি খেলে আপনার চুলকানি নিরাময় হবে। তবে এই বড়িএকটি পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে। এটা খেলে আপনার অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে। 


ফানজিডাল এইস প্লাস, ফানজিল,ট্রাইকোডার্মা,,  স্কাভি ইত্যাদি রয়েছে। এসকল মেডিসিন আপনারা চুলকানির জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।



চুলকানি প্রতিরোধের উপায় 



# চুলকানি প্রতিরোধ করতে হলে জীবনধারার কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। চুলকানি হয় এমন সব পদার্থ এগিয়ে চলুন। 


#চুলকানি স্থানে মলম ব্যবহার করুন ।সেনসিটিভ ত্বকের মলম ব্যবহারের ফলে ত্বক মসৃণ হবে এবং চুলকানি ভালো হবে। 


#চুলকানি স্থানে যদি ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। তাহলে চুলকাবেন না কারণ ওই স্থান চুলকালে সারা শরীরে চুলকানি ছড়িয়ে যেতে পারে। 


#মানসিক চাপ কমান, চাপ বৃদ্ধি হলে আমাদের শরীরের  প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়ে যায় যার ফলে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে থাকে।


আমাদের শেষ কথা ঃ-আশা করি পোস্টটি সবাই পড়েছেন এটিকে সবাই ধারণা পেয়েছেন, চুলকানি ঘরোয়া সমাধান, এছাড়া এ সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট করবেন আমরা তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। 

আশা করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন (আসসালামু আলাইকুম


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন